বান্দরবান

বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ ।বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি হলো বান্দরবান। বান্দরবানের দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার, উত্তর-পশ্চিমে চট্রগ্রাম জেলা, উত্তরে রাঙামাটি ও পুর্বে মায়ানমার। ভৌগলিক কারণেই বান্দরবানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। পাহাড়, নদী ও ঝর্ণার মিলনে অপরূপ সুন্দর বান্দরবান জেলা। এখানে পাবেন বান্দরবান জেলার দর্শনীয় স্থান সমুহের বিবরণ। বান্দরবান জেলায় দেখার মত কি আছে, কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবে এই সব কিছু নিয়েই আমাদের বান্দরবান।

বিবিন্ন দর্শনিও এস্থান নাম :

১/ বুদ্ধ ধাতু জাদি মন্দির
২/ উজানীপাড়ার বিহার
৩/ বম ও ম্রো উপজাতীয়দের গ্রাম
৪/ প্রান্তিক হ্রদ, জীবননগর এবং কিয়াচলং হ্রদ
৫/ মেঘলা
৬/ সাঙ্গু নদী
৭/ তাজিংডং এবং কেওক্রাডং
৮/ বগা লেক
৯/ সাইরু হিল রিসোর্ট
১০/ লামা
১১/ প্রান্তিক লেক
১২/ মারায়ন ডং (আলীকদম)
১৩/ কংদুক বা যোগী হাফং
১৪/ বাকলাই ঝর্ণা
১৫/ আন্ধারমানিক (থানচি)
১৬/ তুক অ/লামোনই/ডামতুয়া ঝর্ণা (আলীকদম)
১৭/ ডিম পাহাড় (থানচি-আলীকদম)
১৮/ ত্লাবং ঝর্ণা/ডাবল ফলস
১৯/ জৎলং/মোদক মুয়াল
২০/ সাকাহাফং পর্বত
২১/ চিংড়ী ঝর্ণা
২২/ সাতভাইখুম
২৩/ আমিয়াখুম
২৪/ মিলনছড়ি
২৫/ চিম্বুক পর্বত
২৬/ শৈল প্রপাত
২৭/ নাফাখুম জলপ্রপাত (থানচি)
২৮/ আলীর সুড়ঙ্গ (আলীকদম)
২৯/ রূপমুহুরী ঝর্ণা (আলীকদম)
৩০/ জাদিপাই ঝর্ণা (জাদিপাই পাড়া)
৩১/ স্বর্ণমন্দির
৩২/ লুং ফের ভা সাইতার ঝর্ণা
৩৩/ পাইন্দু সাইতার/তিনাপ সাইতার (রোয়াংছড়ি)
৩৪/ নীলাচল
৩৫/ নীলগিরি
৩৬/ ঋজুক ঝর্না (থানচি)
৩৭/ তিন্দু
৩৮/ নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রীজ

নীলগিরি

নীলগিরি (Nilgiri) কে বলা হয় বাংলার দার্জিলিং। দীগন্ত জুড়ে সবুজ পাহাড় আর মেঘের লুকোচুরি যে কাউকে এর রূপ দিয়ে বিমোহিত করে রাখবে। যদি সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উচ্চতায় মেঘ ছোঁয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে নীলগিরি আপনার সেই ইচ্ছে পূরণ করবে। নীলগিরি পাহাড় চূড়াতেই রয়েছে সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটক কেন্দ্র গুলোর একটি নীলগিরি পর্যটক কেন্দ্র। বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ২২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের নাম নীলগিরি।

নীলগিরি থেকে চারপাশে চোখ মেলে তাকালে সারি সারি মেঘের পাহাড়ে আছড়ে পড়া ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য আপনাকে বিমোহিত করবে। নীলগিরির চূড়া থেকে পাহাড়ের সারির পাশাপাশি আকাশ পরিস্কার থাকলে আপনার চোখে পড়বে বগালেক, বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ পাহাড় চূড়া কেওক্রাডং, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও সাঙ্গু নদী। এছাড়াও নীলগিরির কাছের আদিবাসী গ্রাম থেকে পরিচিত হতে পারেন তাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে। নীলগিরিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে কোন বিভ্রান্তির কারণ নেই তাই পরিবার নিয়ে অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন বাংলার দার্জিলিং খ্যাত নীলগিরি।

নীলাচল

নীলাচল (Nilachal) পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় দুই হাজার ফুট উচ্চতায় টাইগার পাড়ায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত। নীলাচলে রয়েছে আকাশ, পাহাড় আর মেঘের অপূর্ব মিতালী আর তুলনাহীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। সকালে মেঘের ভেলার খেলা আর বিকেলের সূর্যাস্ত এই দুইটি সময়ই নীলাচল তার পূর্ণ রূপ ধারণ করে। নীলাচল থেকে পুরো বান্দরবান শহরকে দেখা যায় আবার মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে দূরের কক্সবাজার সাগর সৈকত হাতছানী দেয় পর্যটকদের। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা সমানভাবে বিমোহিত করে পর্যটকদের। নীলাচলে বর্ষা, শরৎ আর হেমন্তকালে হাতের কাছে মেঘ খেলা করে। নীলাচলের একেক স্থান থেকে একেক রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।

আগত পর্যটকদের নীলাচলের রূপ অবলোকন করার সুবিধার জন্য এখানে রয়েছে কয়েকটি বিশ্রামাগার ও রিসোর্ট। নীলাচলে পর্যটকরা সাধারণত সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকতে পারেন। পরবর্তীতে শুধুমাত্র যারা রিসোর্টে রাত্রি যাপন করেন তাদেরই থাকার অনুমতি মিলে। যদি মেঘের দেখা পেতে চান তবে খুব সকালে যেতে হবে নীলাচল।

জাদিপাই ঝর্ণা

বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কেওক্রাডং পাহাড় থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে জাদিপাই ঝর্ণার (Jadipai Waterfall) অবস্থান। কেওক্রাডাং, জংছিয়া ও জাদিপাই এই ৩টি পাহাড়ি ঝিরির স্বচ্ছ পানির ধারা একত্রে মিলিত হয়ে প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে কালো পাথরের গা বেয়ে জাদিপাই ঝর্ণা রূপে সাংঙ্গু নদীর সাথে এসে মিশেছে। জাদিপাই বাংলাদেশের প্রশস্ততম ঝর্ণাগুলোর মধ্যে অন্যতম। জলপ্রপাতের চারিদিকে ছড়ানো আছে সবুজে মোড়ানো পাহাড় এবং প্রকৃতির নির্মল মাদকতা। যার বুক চিরে স্বশব্দে বয়ে চলা জাদিপাই আপন ভাবধারায় বান্দরবানের ঝর্ণার রাণী রূপে প্রাবাহমান।

Scroll to Top
Scroll to Top